বিলবো র্ড কেড়ে নিল ক্ষমতা।
বিলবো র্ড কেড়ে নিল ক্ষমতা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে সিলেট নগরীতে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, বিলবোর্ড স্থাপন এবং পথচারীদের দৃষ্টিগোচর করতে রোড ডিভাইডারে বৃক্ষের মুণ্ডুপাত করে তাতে বিলবোর্ড লাগানোর ঘটনায় সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেনের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ স্বাক্ষরিত এক পত্রে আমির হোসেনপত্রে বলা হয়েছে, ‘সিলেট মহানগরীর কয়েকটি স্থানে রোড ডিভাইডারের গাছ কেটে বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্
যার ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
গত ২৫ মার্চ রাতে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা-মদিনামার্কেট এলাকায় বিদ্যুতের পিলারে ওঠে কয়েকজন ব্যক্তি গাছের ডালপালা কেটে বিলবোর্ড স্থাপন করেন। এ সময় তাদের দাবি ছিল, ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ডের জন্য গাছের ডাল কাটা হয়েছে।
গাছের সব ডালপালা কাটার কারণ জানতে চাইলে গাছকর্তনকারীরা জানান, বিলবোর্ডে তাদের নেতার ঈদ শুভেচ্ছা ঢাকা পড়ছিল, তাই গাছের ডাল কাটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান।
সরেজমিনে মদিনামার্কেট এলাকায় দেখা গেছে, বিলবোর্ডে মো. আমির হোসেনের বড় করে ছবি দেওয়া আছে। তার ওপরে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের ছবি। পাশেই বড় করে দেওয়া আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি।
বিলবোর্ডের ব্যনারে লেখা ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৯নং ওয়ার্ডসহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সর্বস্তরের জনসাধারণকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছান্তে-মো. আমির হোসেন, সহ-সভাপতি মহানগর বিএনপির ও সভাপতি সিলেট মহানগরীর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি। এসব লেখা সংবলিত বিলবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মাথাহীন গাছ।
এ বিষয়ে আমির হোসেন গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঈদের শুভেচ্ছার বিলবোর্ড লাগিয়েছি। কিন্তু এখানে কোনো গাছ কাটা হয়নি। এই সড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় বাস চলাচল করে। এই বাসগুলোতে ডালপালায় আটকে যায়। তাই হয়তো কেউ ডালপালা কেটে দিয়েছে। আমার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কাজ করা হয়নি।’সংবাদের সত্যতা পেলে দল থেকে সাময়িকভাবে দরখাস্ত করা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স